পৈন্দা নরুল্লা সেচ স্কিমে অচলাবস্থা
বিএডিসি’র সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিটির লিখিত অভিযোগ
- আপলোড সময় : ১৬-১২-২০২৫ ১০:০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৬-১২-২০২৫ ১০:০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের নরুল্লা গ্রামে বিএডিসি’র সেচ নিয়ে মামলাসহ নানা জটিলতায় মওসুম পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। সংশ্লিষ্ট অফিসের ছাড়পত্র, বিএডিসি’র ভাড়া, পল্লীবিদ্যুতের আগাম বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার পরও বর্তমান কমিটিকে তুচ্ছ অভিযোগে কাজ করতে বাধা দেওয়ায় সম্ভাবনাময় কৃষি প্রকল্পে অচলাবস্থা শুরু হয়েছে। এতে কৃষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি মওসুমে ধান রোপন নিয়েও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
জানা গেছে, নুরুল্লা গ্রামে ২০২১ সাল থেকে পৈন্দা-নরুল্লা সেচস্কিম সুরমা নদী থেকে সেচযন্ত্র লাগিয়ে চাষাবাদ করছে। এতে এলাকার কয়েকশ কৃষক হাজার একর জমি চাষাবাদ করে কৃষিতে বিরাট ভূমিকা রাখছেন। সম্প্রতি এ নিয়ে গ্রামের কৃষকদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে বিএডিসি তুচ্ছ অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযোগকারীদের নিয়ে একতরফা তদন্ত করে বর্তমান কমিটিকে পরিবর্তনের মত দেয়। এই বিষয়টি অবগত হয়ে বর্তমান কমিটির ম্যানেজার হোসাইন আহমদ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে সেচকাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে আদালত ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাাখিলের নির্দেশনা দেন। গত ১১ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী প্রকৌশলী কাজি হোসেন আর রাফি উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রতিবেদন দেন। এই প্রতিবেদনে বর্তমান কমিটিকে বাদ দিয়ে তার পছন্দের কমিটিকে সুপারিশ করছেন। এই বিষয়টি অবগত হয়ে সেচ কমিটির ম্যানেজার হোসাইন আহমদ ওইদিনই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করে নিরপেক্ষ তদন্ত কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।
সেচ কমিটির ম্যানেজার হোসাইন আহমদ বলেন, তুচ্ছ অভিযোগে তদন্ত কর্মকর্তা মহোদয় এক তরফা তদন্ত করে আমাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিয়েছেন। যার কোনও সত্যতা নেই। আমরা কৃষিকাজ যাতে ব্যাহত না হয় সেজন্য বিএডিসির ভাড়া পরিশোধ, পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগের জামানত প্রদানসহ আনুষঙ্গিক প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা স্কিমে খরচ করেছি। এখন মওসুম চলে যাচ্ছে। কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন। আমরা ন্যায়বিচারের স্বার্থে মামলাসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।
সহকারী প্রকৌশলী কাজি হোসেন আর রাফি বলেন, আমি আদালতের নির্দেশে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। এখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সেচ কমিটির সভাপতি যে সিদ্ধান্ত নিবেন সেটাই আমরা মেনে নেবো।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ

স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক সুনামকণ্ঠ